
অনলাইন ডেস্কঃ
যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে যশোর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। জালিয়াতি ঘটনার পর প্রায় চার বছর তিনি পলাতক ছিলেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে শিক্ষাবোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ৯টি চেক ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। পরে তদন্তের পরিধি বাড়ালে মোট ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে আসে। এ ঘটনায় দুদক তদন্ত শুরু করে এবং শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। আসামিরা হলেন— শিক্ষাবোর্ডের বরখাস্তকৃত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বাবু, আশরাফুল আলম, গাজী নূর ইসলাম, প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন। তবে চার্জশিটে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন ও সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে এবং অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার সব আসামি ২০২১ সাল থেকে পলাতক ছিলেন। অবশেষে দীর্ঘদিন পর নিজ বাড়িতে ফিরতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন প্রধান আসামি আব্দুস সালাম।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, আব্দুস সালাম চেক জালিয়াতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপশহর ফাঁড়ির পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।