
অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবার চরমে পৌঁছেছে। সম্প্রতি পুয়ের্তো রিকোর ঘাঁটিতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ভেনেজুয়েলায় বেড়েছে মার্কিন সামরিক অভিযানের শঙ্কা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মাদক পাচার হয় ভেনেজুয়েলা থেকে। তাই সমুদ্রপথে মাদক চোরাকারবারী রোধই তাদের টার্গেট। জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এই চক্রগুলোকে ‘মাদক-জঙ্গি’ হিসেবে তকমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রস্তুতির মধ্যে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, মার্কিনিরা জোরপূর্বক তার সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি আমি। তাদের ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্ব, শান্তির অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা করি। আমাদের মধ্যে এমন কোনো মতপার্থক্য নেই যা সামরিক সংঘাতের দিকে যেতে পারে। আমি সবসময় আলোচনায় আগ্রহী।
এদিকে এমন আশঙ্কার মধ্যে ভেনিজুয়েলার বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি নির্বাচনে জিতে আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মাদুরো। যদিও এই নির্বাচনের বৈধতা দেয়নি পশ্চিমা দেশগুলো।
তবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক পাচাররোধ নয়, বরং, ভেনেজুয়েলার জ্বালানি প্রাচুর্য্যের দিকেই নজর যুক্তরাষ্ট্রের। ক্যারিবীয় অঞ্চলে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতায় উঠেছে জোরালো এই অভিযোগ। কারণ- মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যই বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহকারী শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় নেই, কারাকাস। পাশাপাশি- ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী- বিশ্বের সর্বোচ্চ জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে ক্যারিবীয় দেশটিতে। অবশ্য এখনও ওয়াশিংটন সাফাই গাইছে, সমুদ্রপথে মাদক চোরাকারবারী রোধই তাদের টার্গেট।