
অনলাইন ডেস্কঃ
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশন পাঁচটি বিকল্প দিলেও জামায়াতের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে কাছাকাছি আসতে পারব। সাংবিধানিক আদেশ জারি না হলে গণভোটকে বিকল্প হিসেবে রেখেছি।
জামায়াতের প্রস্তাব ব্যাখ্যা করে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছি। সংস্কারের যেসব সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সেগুলো সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বাকি ক্ষেত্রে সংবিধান যেমন আছে তেমনি থাকবে।
শিশির মনির বলেছেন, ৫ আগস্ট জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সংস্কারের সংলাপ চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর যখন সংবিধান, সরকার, বিচার বিভাগ ছিল না- সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সেই সময়য়ে জনগণের অভিপ্রায় কার্যকর ছিল।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী জনগণের অভিপ্রায়ের যে পরম অভিব্যক্তি তার বহিঃপ্রকাশকে বিশেষ আদেশের মাধ্যমে প্রাধান্য দেওয়া হলে আগামী নির্বাচন এর অধীনে হওয়ার পথে বাঁধা থাকবে না।
গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুসরণের সুযোগ নেই জানিয়ে শিশির মনির বলেন, সংবিধানের ১৫৩টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ৫৭টি ইতোমধ্যে অকার্যকর। এজন্য সাংবিধানিক আদেশ প্রয়োজন।