
অনলাইন ডেস্কঃ
ফরিদপু-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ভাঙ্গায় তৃতীয় দফায় চলছে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কে সাতটি ও রেলপথের তিনটি স্থান অবরোধ করছেন বিক্ষুব্ধরা। এতে নিদারুণ কষ্ট আর ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতা। সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ী-ফরিদপুর-ঢাকা রেলপথের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি রেল ক্রসিংয়ে নকশীকাঁথা ট্রেনটি আটকে দেয় তারা। এসময় যাত্রীদেরও নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক যাত্রী।
মাদারীপুরের আত্মীয়ের বাসা থেকে আসা আরিফ হোসেন নামের এক ট্রেন যাত্রী বলেন, আমি রংপুরে যাবো। ট্রেন থামিয়ে নামিয়ে দেওয়ার পর সাত কিলোমিটার পথ হেঁটে এলাম। কোথাও কোনো গাড়ি নেই। কোথায় যাবো, কোন পথে যাবো, কোনো গাড়ি নেই। মানুষের চরম কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কষ্ট দিয়ে আন্দোলন মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রেনে করে ঢাকায় মেয়ে-জামাইয়ের বাসায় বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের সালথার রসুলপুরের মো. বাচ্চু শেখ (৫৩)। ট্রেন থামিয়ে নামিয়ে দেওয়ার পর হাতে ব্যাগ আর মাথায় পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে হাঁটছেন তিনি।
ট্রেন আটকে নামিয়ে দেওয়া হলো যাত্রীদের, নিদারুণ ভোগান্তি
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ট্রেনে করে ঢাকায় মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। হামিরদি রেলক্রসিংয়ে যাওয়ার পর রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন আটকে দেওয়া হয়। পরে আমাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দিয়েছে। এখন এই ভারি মালপত্র নিয়ে হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা রেলস্টেশন কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান বলেন, রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল নকশিকাঁথা। ট্রেনটি আটকে দেওয়ায় ভাঙ্গা জংশনে ঢাকা থেকে আসা রাজবাড়ীগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বিক্ষুব্ধ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।