
অনলাইন ডেস্কঃ
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে ঘোষিত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঠিক আগেই আন্দোলনকারী ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ককে আটক করা হয়েছে। তিনি আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কর্মসূচি ঘোষণার পর গভীর রাতে তাঁকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই মূলত এই আন্দোলন শুরু হয়। এই পরিবর্তনের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে ‘আলগী ও হামিরদি ইউনিয়ন এবং ভাঙ্গা উপজেলার সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দেন সিদ্দিক মিয়া।
ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন এই আটকের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ডিবি পুলিশ তাঁকে ফরিদপুরে নিয়ে গেছে এবং এখনো থানায় হস্তান্তর করেনি। কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে ওসি পরে জানাবেন বলে জানান।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনের সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান বুলবুল এবং পলাশ মিয়া জানান, রাত ২টার দিকে চান্দ্রা ইউনিয়নে তাঁর বোনের বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ চেয়ারম্যানকে আটক করে নিয়ে যায়। তাঁরা এই আটকের কারণ সম্পর্কে কিছু জানেন না। আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেজর প্রকৌশলী (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমও সিদ্দিক মিয়ার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা রক্ষার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অন্যতম নেতা সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।’
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, মানুষের ভোগান্তি এড়াতে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।