
অনলাইন ডেস্কঃ
চাঁদাবাজি, রেলওয়ের জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে খুলনা সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদকে গ্রেপ্তারে সোনাডাঙ্গা এলাকার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১২ নম্বর সড়কের ২০০ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখান কাউকে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ির মালিক শেখ আসাদুর রহমান খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি। খুলনার বড় বাজার এলাকায় ফরিদ মোল্লা ও আসাদ নিজেদের মামা-ভাগনে পরিচয় দিতেন।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় নগরীর রেলওয়ে হাসপাতালের ফরিদ মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ওই রাতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের ঘাট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন ফরিদ মোল্লা। খুলনা নদীবন্দর ঘাট, খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটের একাধিক দোকান দখলের পাশাপাশি রেলওয়ের জমি দখল করে গড়ে তোলেন একাধিক মার্কেট। একের পর এক অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক মাসের আটকাদেশ চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গত ২৬ আগস্ট সমকালে ‘এরশাদ শিকদারের স্মৃতি ফেরাচ্ছেন ফরিদ মোল্লা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরই ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ (২) ধারায় তাঁকে এক মাসের আটকাদেশের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় প্রশাসন।
বাড়ির মালিক আসাদুর রহমান বলেন, কেন পুলিশ আমার বাড়িতে ফরিদকে খুঁজতে এসেছে বুঝলাম না। ফরিদ মোল্লা আমার আত্মীয় নন। কেউ মামা ডাকলে আমি তাকে তো নিষেধ করতে পারি না।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও মাদক কারবারির আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। এখানে ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।