
অনলাইন ডেস্কঃ
ফরিদপুরে এক ঘর থেকে শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ এবং বাইরের আরেক ঘর থেকে মায়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যেরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম হুজাইফা (৫) ও মৃত মায়ের নাম সুমাইয়া আক্তার (২২)।
সুমাইয়া অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমাইয়া ফরিদপুর সদরের কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা রমজান মুন্সীর স্ত্রী। রমজান মুন্সী সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মোতালেব মুন্সির ছেলে।
এর আগে, ২০২০ সালে সুমাইয়ার সাথে রমজানের বিয়ে হয়। হুজাইফাই তাদের একমাত্র সন্তান ছিল। রমজান দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর ছিলেন। তবে গত দুই বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে অন্য কোন দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
রমজানের বাবা মোতালেব মুন্সি জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির কাছে গরুর খামারে কাজ করছিলেন। হঠাৎ-ই বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি বাড়িতে আসেন এসেই মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পারেন।
তিনি বলেন রমজানের সাথে সুমাইয়ার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল । কখনো তাদের মধ্যে কলহ হয়েছে বলে শোনা যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানান, সুমাইয়া ও রমজানের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাঁটির কথা শুনতে পেতেন তারা।
ইতোমধ্যে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে। আর শিশুটিকে ঘরের মধ্যেই গলাকাটা অবস্থায় কম্বল প্যাচানো মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।