
অনলাইন ডেস্কঃ
সৌদি আরবের রিয়াদে একই মালিকের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেলাল হোসেন নামে বরিশালের এক ব্যক্তির ১৯ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থেকে জামাই ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইন্দ্রনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই গ্রামের লোকমান মোড়লের ছেলে সিদ্দিক মোড়ল (৫৩) ও তার জামাতা একই গ্রামের মোবারেক আলী শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ ওরফে মিঠু (৩৭)।
বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আবুল বাশার চুন্নুর ছেলে বেলাল হোসেন জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের সারাকাত আলীর ছেলে আল মামুন হোসেনের সঙ্গে সৌদি আরবের রিয়াদে একই মালিকের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে তার সু-সম্পর্ক তৈরি হয়।
আল মামুন ওই প্রতিষ্ঠানের ফুড ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করতেন। ওই মালিকের একটি দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ৩১ আগস্ট আল মামুন বাংলাদেশে যাবে বলায় তিনি ১০৮ গ্রাম ওজনের ৫টি সোনার চুরি, একটি আংটি ও একটি নেকলেস তার কাছে দেন। যার বাজার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া তিনি কসমেটিকস, কাপড়সহ দু’টি লাগেজ ভর্তি তিন লাখ টাকার বিভিন্ন জিনিসপত্র দেন আল মামুনের কাছে।
১ সেপ্টেম্বর তিনি বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে কোন মালামাল সেখানে পাঠানো হয়নি। আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে তিনি বাড়ি ফিরে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে নওয়াপাড়া গ্রামে আল মামুনের বাড়িতে যান। আগে থেকে খবর পাওয়ায় আল মামুন বাড়িতে আসেনি।
একপর্যায়ে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তিনি কালিগঞ্জের সিদ্দিক মোড়লের বাড়িতে যেয়ে আসামি আল মামুন ও হাবিবুল্লাহ মিঠুসহ ৩/৪ জন আসামিকে দেখতে পান। এ সময় তারা বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন করার হুমকি দেয়। পরে আল মামুন কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি কালিগঞ্জ থানায় জানালে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ সিদ্দিক মোড়ল ও তার জামাতা মিঠুকে নলতা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাগেজসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বেলাল হোসেন বাদী হয়ে আল মামুন, সিদ্দিক মোড়ল ও হাবিবুল্লাহ মিঠুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখিত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান আসামি আল মামুনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট মালামালাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামাই ও শ্বশুরকে আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।