
অনলাইন ডেস্ক:
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, দেশে এখনো আওয়ামী দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তারা নানাভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দোসররা গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চক্রান্তে লিপ্ত।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নগরীর খুলনা নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের লবণচরা হাজী আঃ মালেক দারুস সালাম জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে তিনি এসব কতঅ বলেন। তিনি বলেন, জনগণ পরিবর্তন চায় অথচ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মতোই আওয়ামী দোসররা আবারো নানা ফন্দি আঁটছে। তাদের এসব চক্রান্ত কখনোই সফল হবে না। বিএনপি সব সময় জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সাবেক ছাত্রদল নেতা তুহিন আরো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা জনগণের রোষানলে পড়বে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে সব ধরনের চক্রান্ত প্রতিহত করবে। দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনই একমাত্র সমাধান।
তুহিন অভিযোগ করে বলেন, মাদক সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন। তাই শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, পরিবার, সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে একসাথে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে মুসল্লিদের প্রতি আহবান জানিয়ে তুহিন আরো বলেন, মাদক এখন জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে মাদক নির্মূল করতে হবে। তরুণদের রক্ষা করতে না পারলে দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। যুব সমাজই আমাদের আগামী দিনের সম্পদ। কিন্তু মাদকের ছোবলে তারা বিপথে চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি রুখতে বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করবে এবং মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, সন্তানদের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগণকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যত প্রভাবশালীই হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তুহিন আওয়ামী দোসরদের অপতৎপরতা রুখে দিতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। এ সময়ে মুসল্লিরাসহ স্থানীয় বিএনপির গাজী আফসার উদ্দিন, আমিন আহম্মেদ, বাবুল রানা, একেএম সেলিম, আসাদুজ্জামান, মোকলেস, জাকির, বাবুল, দুলাল, বেল্লাল, তানজিল, ইয়াকুব,মিজান, রিপন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সদর থানা বিএনপি’র পৃথক এক সাংগঠনিক সভায় তুহিন বলেন, নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হলে প্রতিটি নেতাকর্মীকে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, আমরা সবাই জানি-বর্তমান সময়টা দেশের জন্য মাইলফলক। গণতন্ত্রের বিজয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের সঠিক পথ ফেরানোর জন্য আমাদের কার্যত একত্রিত হওয়াই এখন সবচেয়ে বড় দরকার।
আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হলে শুধু কথায় হবে না; কাজ করতে হবে, মাঠে নামতে হবে, প্রত্যেক ভোটারকে চোখের সামনে নিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা সদর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে সাংগঠনিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র বিপন্ন। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা চায় জনগণ ভোটকেন্দ্রে না যাক। কিন্তু বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে থেকেছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের মূল শক্তি হলো দেশের সাধারণ মানুষ। তাই কোনো ষড়যন্ত্র বা ভয়ভীতি আমাদের দমাতে পারবে না।
আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হলে প্রতিটি নেতাকর্মীকে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কে. এম. হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মোঃ নাসির উদ্দিন, গাজী আফসার উদ্দিন মাস্টার, এ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, মোঃ আবু সাঈদ শেখ, শফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার জলি, মনিরুজ্জামান মনি, ইফতেখার হোসেন বাবু, এস এম নুরুল আলম দীপু, মনজুরুল আলম, সওগাতুল আলম সগির, মোঃ আমিন আহমেদ, মোঃ বায়েজিদ হোসেন, মোঃ নুরুল ইসলাম, জামির হোসেন দিপু, মোস্তফা আলম, শাহ আসিফ হাসান রিংকু, মোঃ বাবুল রানা, মোঃ রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, সৈয়দ আজাদ হোসেন, এস এম মুরাদ হোসেন, সুব্রত চ্যাটার্জী, জিয়াউর রহমান খান আপন প্রমুখ।