
অনলাইন ডেস্কঃ
ভারত থেকে চাল আমদানির প্রভাবে বাজারে চালের কিছুটা কমেছে। কোন কোন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা কমেছে। কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দামও। এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে। আর সবজির দাম কমলেও উত্তাপ কমেনি। অন্যান্য পণ্যের দাম একই রয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বিজয় সরণির কলমিলতা, মহাখালীর বউবাজার ও শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে এখন নাজিরশাইল চাল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও তা ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মোটা চালের মধ্যে পাইজাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের চাটখিল রাইস এজেন্সির মালিক বেলাল হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ভারত থেকে চাল আসার কারণে চালের দাম কমেছে। তবে দেশি যেগুলো মিনিকেট আছে, সেগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।
এদিকে, বাজারের পেঁয়াজের দাম সামান্য কমেছে। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হলে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও অন্তত ৫ টাকা বেশি।
বাজারে দেখা গেছে, বেগুন ৫০ টাকা , চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেরশ ৬০ টাকা, ককরোল ৮০ টাকা, কড়লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ঝালি কুমড়া ৫০ টাকা ও লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকাক কেজি, কলার হালি ৫০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা কেজি, কচুর মুখি ৪০ টাকা, শসা ৫০ ও টমেটো ১৬০ টাকা, সিম ১৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ৮০ টাকার নিচে পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ ও ঢেরশ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শেওড়াপাড়ার ইব্রাহিমপুর বাজারের কাঁচাবাজারের দোকানদার মহিউদ্দিন বলেন, ‘সবজির দাম অনেকটা কমছে। আগের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। ১০০ টাকার নিচে তরকারি ছিল না। এখন অনেক তরকারিই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে সবজির দাম আরও কমে যাবে। কারণ সামনে শীতের মৌসুম আসছে। বাজারে নতুন সবজি আসতে শুরু করেছে। ফুলকপি ও পাতাকপি বাজারে আসা শুরু হচ্ছে। এ কারণে বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কমেছে।’
এদিকে, রসুন ১৬০ টাকা, মসুর ডাল ভারতীয় ১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷
এদিকে, এখন এক কেজি প্যাকেটেজাত আটা কোম্পানি ভেদে ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। খোলা আটার দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। একইভাবে বিভিন্ন কোম্পানির ময়দার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিমের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম। বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম এলাকাভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সপ্তাহ খানেক আগে ব্রয়লার মুরগির ডিম (লাল) যেখানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও কিছু খুচরা দোকানে এখনো এক হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ইলিশের বাজার এখনো চড়া রয়েছে। সবচেয়ে বড় সাইজের অর্থাৎ ১ কেজি ২০০ থেকে ১ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর সবচেয়ে ছোট সাইজের ইলিশ ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।