
অনলাইন ডেস্কঃ
আমরণ অনশনে থাকা তিতুমীর কলেজের ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ দাবি করা তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক।
রোববারের (২ ফেব্রুয়ারি) তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে রাসেল নামের ওই চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানান, তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। বিভিন্ন কারণে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দ্রুত ওই শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পাঠানো দরকার।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গত বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে অনশনে বসেন কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী। এরপর তাদের সাথে আরো কয়েকজন যোগ দেন।
গত শুক্র ও শনিবার এর মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে অনশনের পাশাপাশি ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচিও পালন করছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বেলা ১২টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের আমতলী সড়ক বন্ধ করে রেখেছেন তারা।
এর আগে শনিবার রাতে দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, জনভোগান্তি করতে চাই না, অল্প সময়ের জন্য গুলশান ও মহাখালী অবরোধ করে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, জনদুর্ভোগ তৈরি না করা ছাড়া রাষ্ট্র কথা বলতে চায় না, সরকারকে এ ধারা থেকে বের হতে হবে। আমাদের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চলবে।
তিতুমীর ঐক্যের মাহমুদ মুক্তার কথা সে সময় বলেন, মন্ত্রণালয়ের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। একইসাথে আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হয় বিবৃতিতে।
মাহমুদ মুক্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘টালবাহানা’ কথা বলে ‘দাঙ্গা’ লাগাবেন না, কিছু হলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকারের অকার্যকর প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরণ অনশন কর্মসূচি চলমান থাকবে। পাশাপাশি তিতুমীর কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখা হবে।