
অনলাইন ডেস্কঃ
বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দেশ ও বিশ্বের অধিকার সচেতন মানুষের জন্য অনন্য দলিল হিসাবে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার দুপুরে, নিজ কার্যালয়ে দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করে তিনি একথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এসব প্রতিবেদন এখন সবার সামনে প্রকাশ করা হবে, ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য।
বিচার বিভাগ ও জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা । এরপর কমিশনের সদস্যদের সামনে বক্তব্য রাখেন তিনি।
নিজ কার্যালয়ে দুইটি প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পড়ে জানান, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এর ভিত্তি ধরেই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে।
দুই সংস্কার কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই দুই প্রতিবেদন দেশের সব মানুষকে স্পর্শ করবে। অন্য কমিশনের বড় বড় জিনিস থাকতে পারে, কিন্তু সরাসরি স্পর্শ করে না।
তিনি বলেন, তারা এখানে যে আশার কথা শুনিয়েছেন, এটা আমাদেরকে আশা জাগায়। হয়তো আমার এটা থেকে মুক্ত হব। আমরা সত্যিকারভাবে নাগরিক হিসেবে অধিকার ফিরে পাব। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট হিসেবে জনগণের হাতে দিয়ে দেব, রাজনৈতিক দলের হাতে দিয়ে দেব, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের কাছে দিয়ে দেব, যাতে করে তারা একমত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদন বোঝার জন্য পণ্ডিত হতে হবে না, কারণ আমরা তো ভুক্তভোগী। সংবিধান নিয়ে পণ্ডিত হতে হবে, এখানে পণ্ডিত হতে হবে না। আশা করি এটা সবাই গ্রহণ করবে এবং বাস্তবায়ন করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কমিশন যেটা করল সেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য অবদান না বিশ্বের জন্য অবদান। কারণ সব জাতিকে একটা ফেস করতে হয়। আমার একটা অনুরোধ থাকবে যে, এটার ইংরেজি করা।
তিনি বলেন, বিশ্বের দরবারে যেতে গেলে বিশ্বের ভাষা নিয়ে আসতে হবে। আজকে যে দুইটা ভলিউম গ্রহণ করছি, সেটা জাতির সম্পদ এবং পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করলাম।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনগুলো হস্তান্তর করেন।
গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।
তিনি আরো বলেছেন, এই দুই সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে ধনী থেকে দরিদ্র সব মানুষের অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। বলেন, যারাই মানুষের অধিকারকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন সমাজ গড়তে চান, তাদের জন্য অনবদ্য দলিল সংস্কার কমিশনের এই রিপোর্ট।