
অনলাইন ডেস্কঃ
কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার বিষয়টি জানান কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মামলা এফআইআর করেছি। ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউই এলাকায় নেই। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলার আদর্শ সদর সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর (পান্ডানগর) গ্রামের সাইফুল ইসলাম, নিহত তৌহিদুলের প্রতিবেশী তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খাইরুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল হাসান সবুজ ও একই উপজেলার বামইল গ্রামের সোহেল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- অভিযুক্তদের সঙ্গে তৌহিদুলের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু বিরোধ শেষ হয়নি। এ নিয়ে তৌহিদুলকে হত্যার হুমকি দেন আসামিরা। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মামলায় অভিযুক্তরা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০/২৫ জন সিভিল পোশাকধারী এবং সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পড়ে বাড়িতে গিয়ে যুবদল নেতা তৌহিদ ও প্রতিবেশী লুৎফুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যান। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে একই ব্যক্তিরা আবারও আহত তৌহিদ ও লুৎফুরকে নিয়ে বাড়িতে এসে ঘরে তল্লাশি করে। এ সময় আটক লুৎফুর রহমানকে ছেড়ে দিলেও তৌহিদকে নিয়ে তারা চলে যান। পরে তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় তৌহিদকে গোমতী বাঁধের ঝাঁকুনি পাড়ায় ফেলে যান। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদি বলেন, চারটি শিশু সন্তান নিয়ে আমি বিধবা হলাম। স্বামী পরিকল্পিত হত্যার শিকার। আমরা সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
তৌহিদুলের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, যাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে এর বাইরেও কেউ কেউ থাকতে পারেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না তাও তদন্ত করে পুলিশ বের করবে বলে আশা করি।