
অনলাইন ডেস্কঃ
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে বিদায় নিলেন ক্লাবটির অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনার। ইত্তিহাদে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
খেলা শেষে, ক্লাব লিজেন্ডকে জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও সকল প্লেয়াররা। বিদায় বেলায় কেভিনের সাথে উপস্থিত ছিল তার স্ত্রী ও সন্তানরা।
খেলা শেষে কেভিন বলেন, ম্যানচেস্টারই আমার ঘর। এই শহরেই আমার ছোট্ট সন্তানদের জন্ম। আমি আমার স্ত্রী মিশেলের সাথে এখানে এসেছিলাম দীর্ঘদিন থাকার জন্য। কখনো ভাবিনি যে দশ বছর ধরে ক্লাব, সমর্থক আর সতীর্থদের সাথে আমরা যা গড়ে তুলেছি, সেসব কিছু ফেলে চলে যেতে হবে।
কেভিন আরও বলেন, আমি সিটিতে সবকিছু জিতেছি। এই শহরকে এবং এই ক্লাবকে আরও বড় করে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এই সব ভালো সৃতি হৃদয়ে ধারণ করে আমি বিদায় নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি সবসময় সৃজনশীলতা আর আবেগ নিয়ে খেলতে চেয়েছি। ফুটবলকে উপভোগ করতে চেয়েছি, আর আমি বিশ্বাস করি সিটি সমর্থকরা এটা উপভোগ করেছে। এই দলটির জার্সি ধারণ করা আমার জন্য অত্যন্ত সন্মানের বিষয়। এই ক্লাবে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। সবার জন্য আমার শুভ কামনা রইলো।
সিটি বস পেপ গার্দিওলার জন্য কেভিন ছিলেন স্পেশাল প্লেয়ার। তাইতো, কেভিনের বিদায় মেনে নিতে পারছিলেন না এই স্প্যানিশ কোচ। কেভিনের বিদায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পেপ।
বেলজিয়ান এই তারকাকে সিটি বস লিওনেল মেসির পরেই ‘দ্বিতীয় সেরা’ পাস মাস্টার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এক নজরে ডি ব্রুইনের ম্যান সিটি জার্নি:
ড্যাবিউ: সেপ্টেম্বর ২০১৫
ম্যাচ: ২৮৩টি প্রিমিয়ার লিগ গেম
অ্যাসিস্ট: ১১৯টি (রায়ান গিগসের ১৬২ অ্যাসিস্টের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)
গোল: ৭২টি
গোল জড়িত: ১৯০টি (সালাহ, কেইন ও সনের পর চতুর্থ স্থান)
সৃষ্ট সুযোগ: ৮৪৩টি (ব্রুনো ফার্নান্দেসের ৫৩৫টির তুলনায় অনেক এগিয়ে)
বোর্নমাথের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ডি ব্রুইনার ১৪২তম এবং শেষ হোম গেম। এক্ষেত্রে শুধু ডেভিড সিলভা (১৬০ ম্যাচ) ইত্তিহাদে তার চেয়ে বেশি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ খেলেছেন।
সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার জ্যামি রেডন্যাপের মতে, বিশ্ব ফুটবলে পরবর্তী ডি ব্রুইন কে হবে? এমন কেউ নেই! তিনি ইউনিকর্নের মতো বিরল। আরেকজন ‘কেডিবি’ খোঁজার চেষ্টাই করবেন না। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে তিনি একজন জিনিয়াস। তার জন্য সবকিছুই খুব সহজ, বলা যায় মিডফিল্ড মাস্টারমাইন্ড।