
অনলাইন ডেস্কঃ
শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টায় নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ গোলকমণি শিশু পার্কে উৎসবমুখর পরিবেশে মহাসমারোহে জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সার্বিক পরিচালনায় এবং শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণ মন্দির, টুটপাড়া গাছতলা মন্দির ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), খুলনা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত রথযাত্রার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল হালদার এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রথযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ধর্ম মানুষকে সংযম, শুদ্ধাচার ও মানবতা শিক্ষা দেয়। বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। একে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনে সহযোগিতা, সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে প্রশাসন সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি প্রকৌশলী সত্যানন্দ দত্ত ও খুলনা সেবাশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ স্বামী বিপ্রানন্দজী মহারাজ।
এ সময়ে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন রথযাত্রা আয়োজক কমিটির এস্টেট অব সত্যনারায়ণ মন্দিরের ট্রাস্টি প্রকৌশলী পরিমল দাস, ইসকন গল্লামারী শ্রীশ্রীরাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ গৌড়েশ্বর নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, টুটপাড়া গাছতলা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু মন্ডল, কেএমপি সহকারী কমিশনার শিহাব করিম, এডিসি (সাউথ) মো. হুমায়ুন কবির, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও ধর্মানুরাগী জয়দেব আঢ্য, দিলীপ সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রবীন্দ্র নাথ দত্ত, মহানগর পূজা পরিষদের উপদেষ্টা প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, সহ-সভাপতি অরবিন্দ সাহা, অধ্যাপক তারকচাঁদ ঢালী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ব্রজেন ঢালী, মহানগর পূজা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে মিঠু, সম্পাদকম-লীর সদস্য রতন কুমার দেবনাথ, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, বাবলু বিশ্বাস, তরুণ রায় শিবু, মহাদেব সাহা, শিবনাথ ভক্ত, প্রফেসর ডাঃ বঙ্গকমল বসু, এ্যাড. বীরেন্দ্রনাথ সাহা, এ্যাড. বিজন মন্ডল, এ্যাড. কমলেশ সানা, এ্যাড. স্বপন দাস, তাপস সাহা, প্রদীপ সাহা মদন, অসিত বিশ্বাস, রুপন দে, ভবেশ সাহা, দেবদাস মন্ডল, সঞ্জয় সরকার, সাংবাদিক বিমল সাহা, প্রবীর বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ সাহা, ভোলানাথ দত্ত, কমলেশ সাহা, অভিজিৎ দাস লবী, অলোক দে, বাবু শীল, রবীন দাস, শরৎ কুমার মুন্ধড়া, নিখিল কুমার বিশ্বাস, দীপক দত্ত, সত্যপ্রিয় সোম বলাই, সত্যরঞ্জন পোদ্দার, অশোক কুমার সেন, অনিল কৃষ্ণ মজুমদার, কিংকর সাহা, সুকুমার সাহা, পরিতোষ হালদার, প্রকৌশলী বাবুল দেবনাথ, সুব্রত হালদার, নীলকান্ত দত্ত, অশোক ঘোষ, দুলাল সরকার, নারায়ণ দাস, অজিত হালদার, শান্ত বৈকুণ্ঠ দাস, বৈষ্ণব বলরাম দাস, সুশান্ত ব্যানার্জী, বিশ্বজিৎ সাহা, শক্তিপদ দাস শর্মা, ইন্দ্রজিৎ কু-ু গোপাল, পলাশ সাহা, অম্লান সরদার, নূপুর দাস, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার মজুমদার, সনাতন দ্বীপশিখা’র সভাপতি প্রকৌশলী অর্ধেন্দু শেখর দেবনাথ, তীর্থালোক সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, শ্রীগুরু সংঘের দীপংকর সাধু, হরিজন ঐক্য পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি রাজ কুমার হেলা, মহানগর সভাপতি কুমার লাল, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, আনন্দময়ী সেবা সংঘের সভাপতি সুব্রত সরকার, মহানাম সেবক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মিলন সাহাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পূজা পরিষদের সদর থানা সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক প্প্পাু সরকার, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজত কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক দীপক দত্ত, দৌলতপুর থানা সভাপতি তিলক গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, খানজাহান আলী থানা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্ত, লবণচরা থানা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস রায়, হরিণটানা থানা সভাপতি দেবব্রত মন্ডল দেবু, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, আড়ংঘাটা থানা আহ্বায়ক আশিষ কবিরাজ, বিভিন্ন মন্দির কমিটির কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ রায়চৌধুরী, নিতাই সরদার, এ্যাড. সমীর কুমার ঘোষ, শ্যামল মিস্ত্রী, দীপক কুন্ডু, কৃষ্ণ কর্মকার, আনন্দ কুমার পাল, উজ্জ্বল রায়, শশাঙ্ক রায়, পরিমল দাস, সঞ্জয় দাস টুটুল, সঞ্জীব দাস, দিনেশ দাস, রাজু শীল, প্রবীর সাহা, শুভ শর্মা, সিমান্ত সাহা, আকাশ ব্যানার্জী, কার্তিক দাস, দিব্য সাহা, মিমু দাস, মুন্না সরকার, দীপ্ত সাহা, রাজু সাহা, সুমন সাহা, মমি রায় প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ জগন্নাথদেবের প্রতিকৃতি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ডসহ শঙ্খ-ঘণ্টা, খোল-করতাল, ডঙ্কা প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নামসংকীর্ত্তন করতে করতে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথের দড়ি টেনে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোড়াগেটস্থ প্রেমকানন অঙ্গণে উপস্থিত হয়। রথ চলার পথে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষে পিপাসার্ত ভক্তদের জলছত্রের মাধ্যমে পিপাসা নিবারণ ও প্রেমকানন অঙ্গণে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথ আগামী ১১ জুলাই (১৫ দিনব্যাপী) শুক্রবার পর্যন্ত প্রেমকাননে অবস্থান করবে এবং অবস্থানান্তে উল্টোরথযাত্রার মাধ্যমে রথ স্ব-স্ব মন্দিরে প্রত্যাবর্তন করবে। অবস্থানকালে প্রতিদিন ঊষাকীর্ত্তন, বাল্যভোগ, মধ্যাহ্নে ভোগরাগ, সন্ধ্যারতি, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ধর্মীয় আলোচনা, বৈদিক গীতিনাট্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নামকীর্ত্তন ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে।