
অনলাইন ডেস্কঃ
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৭) অপহরণের চারদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনা মহানগরীর হরিনটানা থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার আসামি গোবিন্দ মন্ডলকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার (৩০ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার ট্রাকিং করে রোববার গভীর রাতে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ভান্ডারকোট এলাকার বিল্লালকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানায়, জনৈক গোবিন্দ মন্ডলের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সে ফোনটি কিনেছে। পুলিশ তখন তাকে সাথে করে হরিনটানা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে রাজবাথ হ্যাচারীর মোড়ে শেখ মশিউর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আসামি গোবিন্দ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদ শেষে পুলিশ সোমবার আদালতের মাধ্যমে আসামি গোবিন্দকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডের ডাক্তার ফারজানা এ্যানির চেম্বারে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে সেইফ কাষ্টিডিউতে নেওয়া হয়।
ফুলতলার পঠিয়াবান্দা গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রী তাদের বসতবাড়ির সামনে থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে গোবিন্দ মন্ডল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জোর পূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেলে করে গাড়াখোলা মাছ বাজারের দিকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই দিন কলেজ ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে পঠিয়াবান্দা গ্রামের নৃপেন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (২০) এবং তার সহযোগি একই গ্রামের আবজাল খাঁর ছেলে আরাফাত খাঁ (৩৫), মনির (৪৫) এবং নৃতিশ মন্ডলকে (৪৫) আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।