
অনলাইন ডেস্কঃ
রাত আনুমানিক ২.৩০ এ মোবাইল…… ধরেই নিয়েছিলাম দুঃসংবাদ কারণ ঐ গভীর রাতে দুঃসংবাদ ছাড়া কেউ কাউকে কল করে না…. সাবেক ছাত্রনেতা ঘনিষ্ঠ অনুজ রুবায়েত আহসান খান রানা জানালো বাদল ভাই আর নেই..… কিছুক্ষণ নির্বাক হয়ে থাকলাম, মৃত্যু তো অবধারিত সত্য কিন্তু কোন কোন মৃত্যুর সংবাদ হৃদয়ে অনেক বেশী লাগে…..
মনিরুল ইসলাম বাদল বয়সে আমার সামান্য বড় কিন্তু সম্পর্কটা ছিল বন্ধুর মত
আমাদের নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ভাই’র একমাত্র ছোট ভাই….. একসময়ে সক্রিয় রাজনীতির সাথী, ছিলেন মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি…..রাজনীতির মাঠে বহু ঝুকিপূর্ণ ঘটনায় আমাদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন….
মঞ্জু ভাই’র ভাই, কিন্তু কিন্তু সে পরিচয় ছাপিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু লোকের সাথে তার একটি বিশেষ সম্পর্ক ছিল সেটা ভীষণ অন্যরকম……
বিগত কয়েক বছর বাদল ভাই অনেকটা নিভৃতচারী হয়ে গিয়েছিলেন…. বিশেষ করে মঞ্জু ভাই এমপি হওয়ার পর থেকে রাজনীতির দৃশ্যপটে তার অনুপস্থিতি…. তাছাড়া শারিরীক ভাবে অসুস্থও ছিলেন……
দীর্ঘদিন পরে তিনি একটি পুত্র সন্তানের পিতা হন, ছেলেটি খুবই ছোট….. আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন….
বাদল ভাই’র সাথে আমার এবং রুমি ভাই’র একটা বিশেষ ত্রয়ী আড্ডাবাজির বহু স্মৃতি…..
সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে ১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলায় লং মার্চে যাওয়ার এক গভীর স্মৃতির কথা……. বাদল ভাই গাড়ীর সামনে বসে আমাদের ৩/৪ দিনের সেই সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন….. রুমি ভাই, আমি, শহীদ চঞ্চল, অপু, রশিদ আমরা…. তাকে আমাদের কেউ কেউ ওস্তাদ হিসেবে সম্বোধন করতো, মজার মানুষ ছিলেন…..
সব ঘটনা গতরাত ১.১৫ মিনিটে স্মৃতি হয়ে গেল…..
আল্লাহ প্রিয় বাদল ভাইকে আপনি ক্ষমা করে দিন, জান্নাতবাসী করুন….. মঞ্জু ভাই সহ পরিবারের অন্য সকলকে আপনি ধৈর্যধারণের সক্ষমতা দান করুন।
লেখক: অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বিঃদ্রঃ- লেখকের এই লেখা একান্তই নিজস্ব