
অনলাইন ডেস্কঃ
নেত্রকোণা মহাশ্মশানে দেশবরেণ্য শিক্ষক যতীন সরকারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টায় সাতপাই নিজ বাসা বাণপ্রস্থে যতীন সরকারের মরদেহ নেয়া হয়। সেখানেই শেষ বিদায় জানানো হয় তাকে।
এর আগে, এদিন রাত সোয়া আটটার দিকে অধ্যাপক যতীন সরকারের মরদেহ নেত্রকোণায় পৌঁছায়। পরে, সর্বজনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে জেলা শহীদ মিনারে নেয়া হয়। রাত ৯টায় জেলা উদীচীর কার্যালয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুই মেয়াদে তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য তিনি প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।
৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর নেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে নিজ জেলা নেত্রকোনায় চলে আসেন। সেখানেই শহরের সাতপাই এলাকার নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।