
অনলাইন ডেস্কঃ
মৃত্যুর জন্য পরিবারের কাউকে দায়ী না করার আকুতি জানিয়ে একটি চিরকুট লিখেছিলেন সুপারি ব্যবসায়ী নান্না ফরাজী। বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এই প্রবীণ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন। এর আগে লেখা চিঠিতে নিজের মরদেহ কাটাছেঁড়া (ময়নাতদন্ত) না করার আহ্বানও জানান তিনি।
তিন সন্তানের জনক নান্না ফরাজী উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের মৃত নাজেম আলী ফরাজীর ছেলে। তার সঙ্গেই ব্যবসা করতেন ছেলে ফাহাদ ফরাজী। তার ভাষ্য, বাবা দীর্ঘদিন ধরে সুপারির ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর ধরে ব্যবসায় লোকসান হলে অনেক টাকা ঋণ হয়। জমি বিক্রি করে কিছু পরিশোধ করলেও ঋণের চড়া সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন। কাউখালীর এক মহাজনের কাছে বাবা অনেক টাকা পেতেন। ব্যবসার লাভের ওই টাকা ওঠাতে না পারায়, এনজিওর কিস্তি ও পাওনাদারের তাগাদায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তার।
স্বজনেরা লাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঋণের বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি। তবে কয়েকজন প্রতিবেশী ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, এনজিও এবং মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে নান্না ফরাজীর ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা হবে বলে তাদের ধারণা।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত তরল কীটনাশক সেবন করায় মৃত্যু হয়েছে তার।
থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বুধবার সকালে জেলা মর্গে পাঠানো হয়। চিরকুট জব্দ করে যাচাই করছেন।