
অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করবে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাডে এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস-২০২৫ উপলক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক বার্তায় বিএনপি নেতা গণতন্ত্রকে একটি সার্বজনীন মূল্যবোধ এবং জনগণের ইচ্ছার অবাধ প্রকাশের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘সত্যিকারের গণতন্ত্র জীবনের সব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক-পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।’
পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় বাকশালের করালগ্রাস থেকে জাতিকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চিরন্তন দর্শন ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূল প্রেরণা ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং বারবার স্বৈরাচারী আক্রমণ সত্ত্বেও সেই সংগ্রামকে অব্যাহত রেখেছেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বারবার স্বৈরশাসনের আঘাত এসেছে-রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষমতালিপ্সু গোষ্ঠী অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকার লক্ষ্যে ভয়ভীতি ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ তৈরি করেছে।’
তিনি বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের গত দেড় দশকের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করার ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন।
এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কর্মে লিঙ্গসমতা অর্জন’ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র সব লিঙ্গের জন্য সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত করে, যা একটি মৌলিক মানবাধিকার। ‘একটি গণতান্ত্রিক সমাজে শক্তিশালী প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, যা লিঙ্গ বিভাজনকে গভীরতর হতে দেয় না এবং সমান অধিকারের পথে অগ্রগতি নিশ্চিত করে।’
জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, যা ভয়াবহ স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, তার স্মৃতি তুলে ধরে তিনি সবাইকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করবে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিনটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে গণতন্ত্রের সারমর্ম ও শক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পালিত হয়।