
অনলাইন ডেস্কঃ
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র অর্থায়ন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসেই একের পর এক আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল-ইউএনএইচআরসিসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প সংস্থাটিকে ইসরাইল-বিরোধী বলে অভিযোগ করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন।
ইউএনএইচআরসি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র অর্থায়ন বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগেও মেয়াদেও একই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরে ইউএনআরডব্লিউএ-কে ইসরাইলবিরোধী সংস্থা হিসেবে সমালোচনা করে আসছিলেন নেতানিয়াহু। ধারণা করা হচ্ছে, তেল আবিবের চাপেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইউনেস্কো ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে বেশ কয়েকবার বিতর্কের সম্মুখীন হয়।
এদিকে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে সীমান্তে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ফেন্টানিলসহ মাদক পাচার প্রতিরোধ করা। নিরাপত্তা জোরদারে এরইমধ্যে ১৮টি সীমান্ত শহরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্রাম্পের কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করার পরই সেনা মোতায়েন করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রে চীন এবং হংকং থেকে পোস্টাল পরিষেবাও বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এমন খবর এলো।