
অনলাইন ডেস্কঃ
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ক্ষমতাসীন দলে বিভক্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইশিবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ায় আমরা একটি বড় বাধা অতিক্রম করেছি। এখন দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
গত বছরের অক্টোবরে ইশিবা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এরপর থেকেই নিজ দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
দলীয় চাপের মুখে সাতদিন আগেও ইশিবার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল। তবে তখন তিনি এমন খবর নাকচ করে দেন। ঠিক সপ্তাহখানিক পর তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার পাশাপাশি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইশিবা। কিন্তু এর কয়েক মাসের মাথায় সংসদের নিম্নকক্ষে এলডিপি ও তাদের জোট কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। আর জুলাইয়ে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় উচ্চকক্ষে।
আগামীকাল সোমবার এলডিপিতে বিশেষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা আছে। এর আগেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন ইশিবা। আল জাজিরা জানিয়েছে, দলের ভেতর সম্ভাব্য বিভক্তি এড়াতেই ইশিবার পদত্যাগের এমন সিদ্ধান্ত।
সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। তিনি সম্প্রসারণমূলক আর্থিক নীতি ও সুদের হার বৃদ্ধির বিরোধিতার জন্য পরিচিত। আরেকজন সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। তিনি খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।